বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত শিশু সাব্বির মিয়ার হত্যা মামলার সব আসামী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এসআই লুৎফুর রহমান জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিশু সাব্বির নিহতের হওয়ার ঘটনায় তার মা বাদি হয়ে সাতজনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এঘটনার পর পর আসামীকে আত্ম গোপনে ছিল। গত ৬ নভেম্বর মহামান্য হাইকোর্ট থেকে হত্যা মামলার সবাই জামিন দিয়েছেন চার সপ্তাহের জন্য। মাননীয় আদালতের নিদের্শে নিয়েছেন চার সপ্তাহ পর নিম্ম আদালতে হাজির হওয়ার জন্য।
প্রসঙ্গত, জগন্নাথপুরের আলমপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা মজনু মিয়া (আবু তাহের) ও তার ভাই খালেদ মিয়ার মধ্যে স্থানীয় কুশিয়ারা নদীর দক্ষিণপাড় এলাকায় বাসষ্ট্যান্ডের মালিকানার জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন মজনু মিয়ার ছেলে নোমান আহমদ। এই বিরোধের নিস্পতির লক্ষ্যে গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বাসস্ট্যান্ডে বৈঠক বসে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ম্যানেজারের পদ থেকে নোমান আহমদকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এসিদ্ধান্তের বিষয়টি জানাতে ষ্ট্যান্ডের শ্রমিক নেতা ইজাজুল ইসলাম, মমরাজ মিয়া গংরা মজনু মিয়ার বাড়িতে যান। এসময় মজনু মিয়ার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপযার্য়ে সংঘর্ষে জড়িত পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে হট্রগোল শুনে ঘটনাস্থলের দিকে ছুঁটে আসা শিশু সাব্বির মিয়া (১০) আবু তাহের মজনু মিয়ার পক্ষের লোকজনের বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারায়। নিহত শিশু নবীগঞ্জের কামারগাও নগরকান্দি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। সে আলমপুরের নোয়াগাঁও ফুরক্বানিয়া হাফিজিয়ার মাদ্রাসার ৩য় শ্রেনীর ছাত্র। শিশু সাব্বির তার মামা ইজাজুল ইসলামের বাড়িতে থাকে পড়াশুনা করত। সংঘর্ষে আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার ৪ দিন পর (২১ অক্টোবর) নিহত শিশুর মা ছুফিয়া আক্তার বাদি হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আবু তাদের মজনু মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উলে¬খ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এঘটনায় কোন আসামী ধরা পড়েনি। তবে সংঘর্ষে ব্যবহৃত একটি বন্দুক গত ৩১ অক্টোবর রাতে পুলিশ রৌয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
Leave a Reply